• ঢাকা রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমলো
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ২ শতাংশেরও বেশি কমেছে। চীনের দুর্বল চাহিদা এবং যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানো নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।   শনিবার (১৬ নভেম্বর) লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৫২ ডলার বা ২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমে ৭১ দশমিক শূন্য ৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৬৮ ডলার বা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে ৬৭ দশমিক শূন্য ২ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রায় চার শতাংশ ও ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম কমেছে প্রায় পাঁচ শতাংশ। রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস শুক্রবার দেখিয়েছে, অক্টোবরে চীনের তেল শোধনাগারগুলো গত এক বছরে আগের তুলনায় ৪.৬ শতাংশ কম অপরিশোধিত প্রক্রিয়া করেছে। দেশটির তেল শোধনাগারগুলোর উৎপাদন গত মাসে অনেক কমে গেছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত আমদানিকারকদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। একই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অক্টোবরে চীনের তেল শোধনাগারগুলো এক বছর আগের তুলনায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কম প্রক্রিয়াকরণ করেছে। কারণ প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে গেছে ও ছোট স্বাধীন শোধনাগারগুলোতে অপারেটিং হার হ্রাস পেয়েছে। তাছাড়া গত মাসে চীনের কারখানার উৎপাদন প্রবৃদ্ধি ধীর হয়েছে। পাশাপাশি সমস্যা কাটেনি প্রোপার্টি সেক্টরেও। আরটিভি/কেএইচ/এআর
৬ ঘণ্টা আগে

রক্ত পরীক্ষা ছাড়াই ডায়াবেটিস হলে বুঝবেন যে লক্ষণে
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এখন ডায়াবেটিসের ব্যাপকতা অনেক বেশি। নগরায়ণের কারণে জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন এবং কায়িক পরিশ্রমের অভাবে ডায়াবেটিসের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছেই। ডায়াবেটিস সারা জীবনের রোগ। কিন্তু একে সুনিয়ন্ত্রিত রাখতে পারলে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব। যাদের দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস আছে, তাদের নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মধ্যেই থাকতে হয়। কিন্তু পারিবারিক ইতিহাস থাকলেও ডায়াবেটিস হয়নি ভেবে যারা নিশ্চিন্তে রয়েছেন, চুপিসারে কখন যে ডায়াবিটিস শরীরে থাবা বসাবে তাদের শরীরে, তা ধরতে পারবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস ধরা না পড়লে বা সঠিক চিকিৎসা না হলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে অস্বাভাবিক হারে চুলও ঝরে পড়তে পারে। এ ছাড়াও শরীরে আরও বেশ কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলো দেখলে বোঝা যায়, কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না। রক্ত পরীক্ষা করার আগেই শরীরে যেসব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন— ত্বকের দাগছোপ: ঘাড়, গলা, দুই বাহুমূলে কালো ছোপ পড়েছে? নিয়মিত ঘরোয়া টোটকায় ত্বকচর্চা করেও ফল মিলছে না। তবে চোখে দেখে বুঝতে পারছেন এটি ঠিক রোদে পোড়া দাগ নয়। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে শর্করা বেশি থাকলে, শরীরের এই বিশেষ বিশেষ জায়গায় কিন্তু কালচে ছোপ পড়ে। কেটে গেলে সারতে চায় না: সপ্তাহ খানেক আগে সব্জি কাটতে গিয়ে একটু আঙুল কেটে গিয়েছে। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই তা শুকিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ৭ দিন হয়ে গেল কিছুতেই তা সারতে চাইছে না। এই লক্ষণ কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে হতে পারে। বার বার প্রস্রাবের বেগ: এমনিতেই শীতকালে ঘাম হয় না বলে ঘন ঘন বাথরুমে ছুটতে হয়। ইদানীং আবার প্রস্রাবের বেগের চোটে মাঝ রাতে দুতিন বার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। পানি বেশি না খাওয়ার পরও যদি এই সমস্যা হয়, বুঝতে হবে ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে। পিপাসা মিটতে চায় না: শীতকালে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় সাধারণত খুব বেশি পানি খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু পরিশ্রম না করেও যদি এই সময়ে পিপাসায় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, তা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার একটি ইঙ্গিত হতে পারে। ক্লান্ত লাগা: বার বার প্রস্রাবের ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা এবং বিভিন্ন খনিজ বেরিয়ে গেলে ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে প্রস্রাবের পরিমাণও বেড়ে যায়। যৌনাঙ্গে সংক্রমণ: রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। সেখান থেকে মূত্রাশয়, যৌনাঙ্গে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বেশি বেশি খিদে পাওয়া: দুপুরে পরিমাণ মতো সব কিছু খাওয়ার পরেও ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই খিদে পেয়ে যাচ্ছে? রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে কিন্তু সারা ক্ষণ খিদে পায়।  কাদের ঝুঁকি বেশি: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। এছাড়া যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, অলস বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এছাড়া নারীদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। যাদের হৃদরোগ রয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়েছিল, সেই সব শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আরটিভি/এফআই
১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০

জনসচেতনতার মাধ্যমে ডায়াবেটিসের প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব: ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ডায়াবেটিস একটি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে নানাবিধ শারীরিক জটিলতা হতে পারে। এসব ঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং তা মোকাবিলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে ডায়াবেটিসের প্রকোপ অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব। ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৩ নভেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১৪ নভেম্বর ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিবাদন জানাচ্ছি।  তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডায়াবেটিস: সুস্বাস্থ্যই হোক আমাদের অঙ্গীকার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষই জানেন না যে তাদের ডায়াবেটিস আছে। এ কারণে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি। ডায়াবেটিস থাকলে নিকটস্থ ডায়াবেটিস সেন্টার থেকে সেবা নিতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সচেতনতাও এক্ষেত্রে খুব জরুরি বলে আমি মনে করি।  বাণীতে ডায়াবেটিক সমিতির কার্যক্রম তুলে ধরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টিসহ নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তা যথারীতি অব্যাহত থাকবে। ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। আরটিভি/আইএম
১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও জনসচেতনতার লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডায়াবেটিস: সুস্বাস্থ্যই হোক আমাদের অঙ্গীকার’। ১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশন (আইডিএফ) ১৪ নভেম্বরকে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। পরে ২০০৭ সাল থেকে পৃথিবীজুড়ে দিবসটি পালন শুরু হয়।  বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অনুরোধে বাংলাদেশ সরকার ১৪ নভেম্বর ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব করে। ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘে এ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। প্রধান উপদেষ্টাড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ডায়াবেটিস একটি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে নানাবিধ শারীরিক জটিলতা হতে পারে। এসব ঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং তা মোকাবিলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে ডায়াবেটিসের প্রকোপ অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন,  বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১৪ নভেম্বর ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিবাদন জানাচ্ছি। আরটিভি/আইএম
১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১

বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস আজ
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস আজ। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দিবসটি আজ সারাদেশে পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য– ‘আসুন নিউমোনিয়া বন্ধ করার লড়াইয়ে সক্রিয় সহযোগী হই’। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, এ বছরের ১০ মাসে দেশে নিউমোনিয়ায় ২ লাখ ১৬ হাজার ৪২৬ শিশু আক্রান্ত হয়েছে। সেই হিসাবে দৈনিক দেশে গড়ে ৭০৯ জনের শরীরে রোগটি শনাক্ত হচ্ছে। গত বছর এ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল ২ লাখ ৪ হাজার ৪১২ শিশু। তবে তাদের প্রায় শতভাগই নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সরকারি টিকা নিয়েছে বলে জানা গেছে। ফুসফুসের প্রদাহজনিত ভয়ংকর একটি রোগ নিউমোনিয়া। বিশেষ করে শীতের সময় শিশু ও বয়স্কদের এ রোগের প্রকোপ বেশি বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকদের মতে, অপুষ্টি, বায়ুদূষণ, টিকা না নেওয়া ও অ্যান্টিবায়োটিকের অভাবে শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ ছাড়া অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান এবং তরুণদেরও হতে পারে নিউমোনিয়া।  সাধারণত ফুসফুসে স্ট্রেপটোকক্কাস জাতীয় ব্যাকটেরিয়া কিংবা শ্বাসযন্ত্রের সিনসিশিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) সংক্রমণ ঘটালে ফুসফুস ফুলে ওঠে, ভরে ওঠে পুঁজে বা তরল পদার্থে, যা অক্সিজেন গ্রহণ করে নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তখন ফুসফুসে প্রদাহ হয়। নিউমোনিয়া রোধে সবসময় পরিষ্কার করে হাত ধুতে হবে, নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে, সুষম খাবার খেতে হবে। ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যের সামনে হাঁচি বা কাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় মুখ হাত দিয়ে ঢাকতে হবে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে। নিউমোনিয়া আক্রান্তদের মধ্যে রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি (হাইপক্সেমিয়া) একটি জটিল সমস্যা। রক্তের অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে শিশুদের বেশি মৃত্যু হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ প্রতিরোধযোগ্য। নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের যদি রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি কমানো যায় তাহলে মৃত্যু কমবে। তাই জেলা, উপজেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।  আরটিভি/এআর
১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২

মাওলানা সা’দপন্থীদের ৫ দাবি, দিয়েছেন ওপেন চ্যালেঞ্জ
বিশ্ব ইজতেমায় দিল্লির মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর উপস্থিতি নিশ্চিতের দাবির পাশাপাশি জুবায়েরপন্থীদের অসত্য ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে সাতটি শর্তে ওপেন চ্যালেঞ্জের প্রস্তাব দিয়েছে সা’দপন্থীরা।  বুধবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘দাওয়াত ও তাবলীগের উলামাকেরাম ও সাধারণ সাথীবৃন্দ’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সা’দপন্থী কাকরাইল মসজিদের খতিব আজিম উদ্দিন বলেন, দাওয়াতে তাবলীগ বিশ্বব্যাপী একটি অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ সংগঠন। বিশ্বব্যাপী এই দাওয়াতি সংগঠনের বাৎসরিক সম্মেলন বা বিশ্ব ইজতেমা প্রায় ৫৭ বছর ধরে টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।  তিনি বলেন, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তথাকথিত ‘জুবায়েরপন্থী’ তাবলীগের একটি বিচ্ছিন্ন অংশ দেশের কতিপয় উলামায়ে কেরামকে বিভ্রান্ত করে ও মাদরাসার কোমলমতি ছাত্রদের ব্যবহার করে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে। আজিম উদ্দিন বলেন, গত ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জুবায়েরপন্থীদের আয়োজিত প্রোগ্রাম থেকে অসংখ্য অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা জাতির সামনে বিষয়টি স্পষ্ট করার লক্ষ্যে সমাধানমূলক ৭টি শর্তের ভিত্তিতে ওপেন চ্যালেঞ্জের প্রস্তাব দিচ্ছি। প্রস্তাবগুলো হলো-  দারুল উলুম দেওবন্দের মাওলানা আরশাদ মাদানি ও পাকিস্তানের শাইখুল ইসলাম মুফতি তকি উসমানীসহ ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ আলেমরা বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সরকারের উপদেষ্টা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন এবং এটি রেকর্ড ও সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। উভয় পক্ষের নির্দিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। বিতর্কটি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। বিচারকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। এ সময় আজিম উদ্দিন ৫ দাবি উপস্থাপন করেন। সেগুলো হলো- ১. বিশ্ব ইজতেমায় তাবলীগ জামাতের বিশ্ব আমির মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।  ২. বিগত ৭ বছরের বৈষম্য দূর করে বিশ্ব ইজতিমার প্রথম পর্ব নিজামুদ্দীন মারকাযের অনুসারী মূলধারার তাবলীগি সাথীদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া। ৩. কাকরাইল মসজিদ ও বিশ্ব ইজতিমা ময়দানের বৈষম্য দূর করে তাবলিগের মূলধারার সাথীদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া। ৪. ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতিমা ময়দানে মূলধারার দুজন সাথীকে হত্যা ও পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ঢাকা নিউ মার্কেটে তিনজন সাথীকে হত্যা ও চার শতাধিক সাথীকে মারাত্মক আহত করার দায়ে জুবায়েরপন্থিদের নামে দায়ের করা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির করা। ৫. সারা বাংলাদেশের সব মসজিদে ধর্মীয় উসকানি ও ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘাত সৃষ্টি হয়, এমন বক্তব্য নিষিদ্ধ করা। আরটিভি/আরএ-টি
০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:১৬

দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা, তারিখ ঘোষণা
গত কয়েক বছরের মতো ২০২৫ সালেও দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা।  সোমবার (৪ নভেম্বর) তাবলিগের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হলেও কোন পক্ষ আগে ও কোন পক্ষ পরে করবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মাঠ হস্তান্তর ও প্রস্তুতি, নিরাপত্তা, বিদেশি অতিথিদের ভিসা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ, ভাসমান ব্রিজনির্মাণ, জরুরি দুর্যোগে ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, আখেরি মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তাবলিগ জামাতের এই সমাবেশে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। দুই পর্বের ইজতেমার একটি নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতের মাওলানা সাদ এবং অপরটির নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের। আরটিভি/আরএ/এসএ
০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:১২

বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রে আজ মাহফুজামঙ্গল উৎসব 
৩৬ বছর পূর্তিতে কবি মজিদ মাহমুদ রচিত ‘মাহফুজামঙ্গল’ কাব্যগ্রন্থ নিয়ে সমধারা আয়োজন করছে ‘মাহফুজামঙ্গল উৎসব-২০২৪’। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্র ভবনের প্রধান মিলনায়তনে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম। কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক মজিদ মাহমুদকে নিয়ে এটি সমধারার দ্বিতীয় প্রয়াস। ২০১৭ সালে ‘মজিদমঙ্গল’ শিরোনামে একটি আলেখ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সমধারা। ২০২৪ সালে তিনি কবিতায় সমধারা সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।  উৎসব সূচিতে থাকছে- ‘মাহফুজামঙ্গল’ ৩৬ বছরের পাঠ প্রবন্ধ নিয়ে ‘মজিদ মাহমুদের বোধ ও মাহফুজামঙ্গল উদযাপন’ শিরোনামে সমধারার বিশেষ সংখ্যার পাঠ উন্মোচন ও মুক্ত আলোচনা। এ ছাড়া ‘মাহফুজামঙ্গল’ থেকে নির্বাচিত কবিতা নিয়ে আবৃত্তি প্রযোজনা ‘মাহফুজামঙ্গলনামা’ উপস্থাপন। প্রযোজনায় কবি মজিদ মাহমুদের সাহিত্যজীবন কর্মের পাশাপাশি মাহফুজামঙ্গল কাব্যগ্রন্থ থেকে ২৫টি কবিতা ও রবীন্দ্রসংগীত স্থান পেয়েছে। প্রযোজনায় বিশেষ শিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন কবি মজিদ মাহমুদ। গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন সমধারা সম্পাদক সালেক নাছির উদ্দিন। মজিদ মাহমুদ কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। তিনি সমকালীন বাংলা ভাষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি ও চিন্তাশীল প্রাবন্ধিক হিসেবে বিবেচিত। মাহফুজামঙ্গল, বল উপাখ্যান, আপেল কাহিনিসহ বেশকিছু জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা তিনি। ‘মাহফুজামঙ্গল’ যেন সম্মোহিত অবস্থায় লেখা একটি কাব্যগ্রন্থ। বারবার পাঠের পর শিহরিত হতে হয়। পৃথিবী সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকে এ মহাবিস্তারের সামনে দাঁড়িয়ে কবি এমন সব কথা উচ্চারণ করেছেন যা এক শাশ্বত প্রেম ও প্রার্থনার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিন যুগ ধরে কাব্যগ্রন্থটি মনোযোগের কেন্দ্রে অবস্থান করছে। মজিদ মাহমুদের রচনা কমনওয়েলথ ফাউন্ডেশন, ইন্ডিয়ান রিভিউ, সিঙ্গাপুর আনবাউন্ডসহ দেশি-বিদেশি স্বনামখ্যাত জার্নাল ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে থাকে। ইংরেজি ছাড়াও ফরাসি, চায়না ও হিন্দি ভাষায় তার বই অনূদিত হয়েছে। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এশিয়ার নোবেলখ্যাত ম্যাগসাইসাই পুরস্কারের জুরি ছিলেন। তার আটটি গ্রন্থ লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের মাধ্যমে বিশ্বের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে। ইতোমধ্যে তার ২৩টি কাব্যগ্রন্থ, ২২টি প্রবন্ধ গ্রন্থসহ ৬০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। মজিদ মাহমুদ সময়ের সন্তান। তিনি এই সময়ের, এই সমাজের, এই দেশের। ৩৬ বছর আগে রচিত তার অমর সৃষ্টি ‘মাহফুজামঙ্গল’ কাব্য। কাব্যরসিক বিদগ্ধজনরা ‘গত শতাব্দীর সর্বশেষ মঙ্গল কাব্য’ অভিধায় শনাক্ত করেছেন এ কাব্যকে।
২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১১

জানা গেল বিশ্ব ইজতেমার সম্ভাব্য সময় 
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে ডেট এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।   মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৩য় সভায় এ কথা জানান তিনি।  স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব ইজতেমা কীভাবে ভালোভাবে হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন বিশ্ব ইজতেমা সাত থেকে আট বছর একটা গ্রুপ ছিল। এখন দুইটা গ্রুপ হয়ে গেছে। তাদের ভেতরে কিছু মতেরও পার্থক্য আছে। তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে বসবো যাতে তারা সবাই ঐকমত্যে এসে ইজেতেমা ভালোভাবে করতে পারে। এটা খুবই ভালো একটা অনুষ্ঠান, আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য বিরাট একটা অনুষ্ঠান। এখানে বহু হুজুর যান এবং তাদেন কাছ থেকে বহু দিকনির্দেশনা আসে। আমরা অনুরোধ করব, যেহেতু তারা মুরুব্বি, তারা সমাজকে দিক নির্দেশনা দেবেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা তাদের বলবো আপনাদের নিজেদের ভেতরে যে সমস্যাটা রয়েছে সেটা নিজেরা সমাধান করতে পারলে আমাদের জন্য ভালো। আর যদি নিজেরা সমাধান করতে না পারে তাহলে আমরা বসতে পারি, কিভাবে সমাধান করে অনুষ্ঠানটি ভালোভাবে করা যায় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা এবং কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে করণীয়; বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়; সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও জঙ্গি প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ; অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা-সহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সদস্যরা অংশ নেন। আরটিভি/এমএ/এআর  
২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:০৯

বিশ্ব মিডিয়ায় শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর 
ছাত্রজনতার আন্দোলন দমনে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।  রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি বিশ্ব গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।  এরমধ্যে বার্তাসংস্থা রয়টার্স তার শিরোনামে লিখেছে, ‘নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি’। বার্তাসংস্থাটি বলেছে, এ বছরের শুরুতে শুরু হওয়া সহিংস আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শিরোনাম করেছে, ‘শেখ হাসিনা: সাবেক নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।’ বিবিসি প্রতিবেদনে লিখেছে, গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।  প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি লিখেছে, ‘হাসিনা সরকার ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচার করতে এই আদালত প্রতিষ্ঠা করে। যদিও এটির বিচারকার্য নিয়ে জাতিসংঘসহ অন্যান্যরা প্রশ্ন তুলেছিল। অভিযোগ ছিল, বিরোধী দলীয় সদস্যদের হত্যায় এই আদালত ব্যবহার করা হয়েছে।’ এছাড়া পাকিস্তানের দ্য ডন, মধ্যপ্রাচ্যের গালফ নিউজ, খালিজ টাইমসেও হাসিনার বিরুদ্ধে জারি হওয়া পরোয়ানা নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ভারতেই অবস্থান করছেন। সম্প্রতি জানা গেছে, হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে ভারত। যা দিয়ে তিনি চাইলে অন্য দেশে যেতে পারবেন। কিন্তু তিনি যদি ভারতে থেকে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তাকে ফেরত দিতে হবে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনালে জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়। সেই ট্রাইব্যুনালেই এখন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন এই আদালতে তারও বিচার হবে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন প্রায় ৩১ হাজার মানুষ। এর মধ্যে বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ।  শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে গঠিত এ ট্রাইব্যুনালে পরিবর্তন আনা হয়। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল পুনর্গঠনের অনুমোদন দেয় আইন মন্ত্রণালয়। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা ১৫ অক্টোবর বিচারিককাজে যোগ দেন। ইতোমধ্যে এই ট্রাইব্যুনালে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে।  
১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২০:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়